এবিএনএ: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশের মানুষ জেগে উঠেছে, আপনাদের আর রক্ষা নেই। এখনো সময় আছে নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা দিয়ে বিদায় নেন। অন্যথায় কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে। জনগণ আপনাদের ছাড়বে না।
বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার কালাকচুয়া এলাকায় কুমিল্লা থেকে চট্টগ্রাম অভিমুখী রোডমার্চের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজকে এ দেশে নিউক্লিয়ার নিয়ে এসেছে। কিন্তু জনসাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেনি। এসব নিউক্লিয়ার আনার আগে আশপাশের জনসাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হয়। কিন্তু তাদের সেদিকে খেয়াল নেই। তারা বড় বড় প্রকল্পের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করার জন্যই এ ধরনের প্রকল্প হাতে নিয়েছে। দেশের সব সেক্টর থেকে দুর্নীতি আর লুটপাটের মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করে দিয়েছে। আমরা যেন এসব বিষয়ে কথা বলতে না পারি সে জন্য ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন পাশ করেছে।
তিনি আরও বলেন, ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন করায় আমাদের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে খুন ও গুম করেছে। আমাদের ৪৫ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। আমাদের নেতাকর্মীরা ১৫ বছর ধরে আদালতের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে। শেখ হাসিনার সরকার যতদিন ক্ষমতায় থাকবে, ততদিন এ দেশ ধ্বংসের দিকে ধাবিত হবে।
কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাজী আমিনুর রশীদ ইয়াছিনের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, সরকারের দেহটা আছে, কিন্তু প্রাণ নেই। ক্ষমতা হারানোর ভয়ে এরা এখন পাগল হয়ে গেছে। এদের হাতে আর সময় নেই। অল্প সময়ের মধ্যেই বিদায় নিতে হবে। পতন সামনে দেখে পাগলের মতো আবোলতাবোল বলছে। ভোট চোর এ সরকারের কোনো রক্ষা নেই।
আমির খসরু বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিদেশে গিয়ে অনেকের পায়ে ধরেছে। টিকে থাকার জন্য ম্যানেজ করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু বিশ্ব বিবেক তাকে আর পাত্তা দেয়নি। আমরা ‘৭১ সালে একবার মুক্তিযুদ্ধ করেছি। এবার ভোটাধিকার এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে আরেকবার মুক্তিযুদ্ধ করব। অবৈধ ভোট চোর হাসিনা সরকারের পতন নিশ্চিত করব।
এ সময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক উৎবাতুল বারী আবু, সদস্য সচিব ইউসুফ মোল্লা টিপু, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব হাজী জসিম উদ্দিনসহ কেন্দ্রীয় অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। পরে কুমিল্লা থেকে চট্টগ্রাম অভিমুখে যাত্রা শুরু করে বিএনপির রোডমার্চ। এতে হাজার হাজার যানবাহন নিয়ে রোডমার্চে অংশগ্রহণ করেন নেতাকর্মীরা। এ সময় নেতাকর্মীরা দলীয় সংগীত এবং নানা স্লোগান দিয়ে মুখরিত করেন গোটা এলাকা।